টুংগীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ৭ মাস আগে একটি মেশিন
করেও রহস্য জনক কারনে স্থাপন
করা হচ্ছে না। ফলে দন্ত চিকি
ৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়
রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় দন্ত
রোগীদের দুঃখ কষ্ট দেখে সরকার
দয়াপরস
হয়ে টুংগীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ৭ মাস আগে ঢাকা সি এম
এইচ ডি থেকে দন্ত চিকিৎসার জন্য
একটি মেশিন সরবরাহ কর।
মেশিনটি স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষ
বারবার তাগাদা দিয়েও যখন রহস্যজনক
কারণে স্থাপন হচ্ছিল না, তখন
স্থানীয় সাংবাদিকেরা খোঁজখবর
নেওয়া শুরম্ন শুরু করলে কর্তৃপক্ষ
নড়েচড়ে বসেন। হঠাৎ ২২ অক্টোবর
ঢাকা থেকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের
লোকজন এসে মেশিনটি স্থাপন করলেও
দন্ত চিকিৎসার প্রধান
যন্ত্রাংশটুকু প্যাকেটে না থাকায়
মেশিনটি অকেজো অবস্থায় রেখে চলে যায়। ঐ অংশটুকু
কবে আসবে কেউই বলতে পারছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা টুংগীপাড়া উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপেপ্লেক্সটি ১৯৯৭
সালে উদ্বোধন করেন। তখন
থেকে ডেন্টাল ইউনিট চালু ছিল।
২০০৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত
যে সব চিকিৎসক চিকিৎসা সেবায়
নিয়োজিত ছিলেন তারা কেউই
সপ্তাহে দুই দিনের
বেশী হাসাপাতালে চিকিৎসাসেবা
প্রদান করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে,
তবে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও
পূর্ণ বেতন নিয়েছেন। এছাড়াও
চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ও দন্ত
মেশিনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ
গুলি তাদের নিজস্ব
ক্লিনিকে ব্যবহার করছেন মর্মে নাম
প্রকাশ অনেচ্ছুক এক কর্মচারী সূত্রে জানা যায়। ২০০৬
সালের এপ্রিল মাসে দন্ত চিকিৎসক
ডাঃ এস এম মাহাবুব আলম এই
হাসপাতালে যোগদান করেন। তারপর
থেকে ইউনিটের
সরঞ্জামাদি এবং মেশিনারি বিকল
দেখে তখনকার কর্মরত
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
পরিকল্পনা কর্মকর্তা বর্তমানে
গোপালগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন
ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান মিয়া এর
সহযোগিতায় পৌরসভা থেকে অর্থ
সংগ্রহ করে সরঞ্জমাদি ক্রয় ও
জোড়াতালি দিয়ে মেশিনটি সচল
রেখে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন
। দন্ত চিকিৎসক জানান প্রদত্ত
মেশিনটি চালু হলে আমাদের রোগীদের
জেলার ক্লিনিকমূখী হতে হবে না।
বর্তমানে কর্মরত
উপজেলা স্বাস্থ্য ও
পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ অরুন
কান্তি বিশ্বাস জানান
মেশিনটি আসার পর থেকে স্থাপনের
জন্য ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আই এফ এ
সিন্ডিকেটকে তাগাদা দিয়ে ব্যর্থ
হওয়ায় বিষয়টি সাবেক স্বাস্থ্য
মন্ত্রী বর্তমান স্বাস্থ্য বিষয়ক
কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল করিম
সেলিমকে অবহিত করেন। তাঁর
নির্দেশে পরিচালক, ভান্ডার ও
সরবরাহ কেন্দ্রীয় ঔষধাগার, ঢাকা ও
মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরকে চিঠির মাধ্যমে অবগত
করা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান
মেশিনটি স্থাপনের জন্য কোন উদ্যোগ
নেয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান
মোঃ সোলায়মান বিশ্বাস এবং পৌর
মেয়র মোঃ ইলিয়াস হোসেন জানান
আমরাও স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি বারবার
অবহিত করেছি, কিন্তু কেন যে স্থাপন
হচ্ছে না জানি না। পৌর মেয়র
আরো জানান, দন্ত চিকিৎসকের
কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে অসহায়
গরীব রোগীদের দুঃখ কষ্ট দেখে পৌর
তহবিল থেকে মেরামত ও যন্ত্রানাংশ
ক্রয়ের জন্য ৮ হাজার টাকা দিয়েছি।
বাগেরহাট, পিরোজপুরের কিছুঅংশ ও
টুংগীপাড়া উপজেলার শতশত দন্ত
রোগীর চিকিৎসাকেন্দ্র এই
টুংগীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
এটি যদি চালু না থাকে তবে বেশীরভাগ
রোগী গোপালগঞ্জ জেলার দন্ত
ক্লিনিকের শরনাপন্ন হওয়া ছাড়া কোন
উপায় থাকে না।
আরেকটি সূত্রে জানা যায়,
গোপালগঞ্জ এর এক দন্ত ক্লিনিকের
মালিক এই স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে পূর্বে কর্মরত ছিলেন।
এই চিকিৎসক দন্ত বিভাগকে ধবংস
করে চলে গিয়ে পূনরায় বর্তমান
কর্মরত চিকিৎসককে বদলী করে এই
হাসপাতালে যোগদান করার
পাঁয়তারা করছেন।
|