হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি: মাও. দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন গত রোববার হরতাল সমর্থকদের হামলায় নিহত পুলিশ সদস্য ওমর ফারুকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার নিজ গ্রাম বোয়ালডাঙ্গার বাজারে জানাজা শেষে গ্রাম্য গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন করা। জানাজায় পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করে। ভ্যানচালক পিতা মোহাম্মদ আলীর দু ছেলে এবং ৩ মেয়ের মধ্যে ওমর ফারুক ছিলো সকলের বড়। অসম্ভব কষ্ট স্বীকার করে ওমর ফারুককে দরিদ্র পিতা লেখাপড়া শেখান। ২০০২ সালে এসএসসি পাস করার পর গবির পিতার আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দু ওমর ফারুক আর্থিক সঙ্কটে আর লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে পারেনি। অবশেষে ২০০৩ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়ে অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরেন। বছর পাচেক আগে বিয়ে বন্ধনে করেন ওমর ফারুক। অথচ সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৪ বছর বছরের একমাত্র নাবালক কন্যা সন্তান তার বাবা বলে ডাকার প্রিয় আপনজনকে চিরতরে হারালো।
(Source: Mathabhanga) (Link: http://mathabhanga.com/details.php?id=63097&date=2013-03-05 )
|