ঝিনাইদহ থেকে ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিসিআইসি'র সারের বাফার স্টক গুদামের বাইরে প্রায় দু' লাখ বস্তা (১০ হাজার টন) সার খোলা আকাশের নিচে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এ সারের দাম প্রায় দুশো কোটি টাকা। ঝড়-বৃষ্টি হলে পানিতে ভিজে এ সার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।
কালীগঞ্জ বাফার স্টক গুদাম থেকে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার বিসিআইসি'র ডিলারদের সার সরবাহের জন্য আপদকালীন মজুত গড়ে তোলা হয়। জরুরি মুহূর্তে এখান থেকে সরবরাহ করার কথা।
গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানান, গুদামের ভিতর ধারণ ক্ষমতা ৭ হাজার টন। সেখানে ১০ হাজার টন সার রাখা হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ইউরিয়া সার মংলা বন্দরে খালাসের পর ট্রাক যোগে সরাসরি কালীগঞ্জে পাঠানো হচ্ছে। ভিতরে জায়গা না থাকায় বাইরে গুদামের চারিদিকে স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
প্রতিদিন ৫শ' থেকে ৭শ' টন সার আসছে। সব সার ডেলিভারি না হওয়ায় মজুত বেড়ে যায়।
ঝিনাইদহ বিসিআইসি'র সার ডিলার সমিতির সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এবার বোরো চাষ কম হচ্ছে। এ কারণে সারের চাহিদা কম। শৈলকূপার বিসিআইসি'র সার ডিলার নিধির কুমার সাহা জানান, বর্তমানের সারের চাহিদা কম। আন্ডার রেটেও ডিলাররা সার বিক্রি করছেন।
(Source: Ittefaq) (Link:http://ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDJfMDZfMTNfMV8yNV8xXzE2OTU5)
|