চরফ্যাশন প্রতিনিধি:
এক দিনের বাচ্চা, ওষুধ, খাদ্য এবং খামারে ব্যবহার করা আনুষঙ্গিক উপকরণের দাম বাড়ায় ভোলার চরফ্যাশনের শতাধিক পোলট্রি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। যেসব খামার এখনও চালু রয়েছে, সেগুলোও নানা ধরনের সমস্যায় বন্ধ হওয়ার পথে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত খামার মালিক ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। খামার মালিক হালিমাবাদের আলী হোসেন মিয়া জানান, নব্বইয়ের দশকের শুরুতে উপজেলার শত শত নারী-পুরুষ চরম বেকারত্ব ঘোচাতে পোলট্রি খামার গড়ে তোলে। তখন দেখাদেখি ছোট বড় এবং মাঝারি খামার গড়ে তোলার হিড়িক পড়ে যায় বেকার নারী-পুরুষের মাঝে।
কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই নানা রোগবালাই, খাদ্য ও খামার চালাতে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা কারণে গভীর সঙ্কটে পড়ে এ শিল্প। খরচ চালাতে না পারায় এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় শতাধিক খামার। কেউবা ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে দিশেহারা হয়ে অবশেষে খামারই বন্ধ করতে বাধ্য হন। কুলছুমবাগ গ্রামের পোলট্রি খামার ব্যবসায়ী রুস্তম আলী, আ. মন্নান ও লিটন জানান, মাত্র চার-পাঁচ বছর আগেও একটি লেয়ার বাচ্চার দাম ছিল ১৫-১৬ টাকা। বর্তমানে সেই বাচ্চার দাম ৮০-৮৫ টাকা। বন্ধ হয়ে যাওয়া খামার মালিক আ. ছালাম জানান, লোকসান দিতে দিতে ঋণগ্রস্ত হয়ে তিনি ব্যবসাই ছেড়ে দিয়েছেন।
এক বছরে তাকে লোকসান গুনতে হয়েছে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা। একাধিক পোলট্রি খামার ব্যবসায়ী জানান, চার বছর আগে একটি লেয়ার বাচ্চার দাম ছিল সর্বোচ্চ ১৫ টাকা, বর্তমানে তার দাম হয়েছে কমপক্ষে ৮০-৮২ টাকা। অনুরূপভাবে ২০ টাকার ব্রয়লার বাচ্চা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং সোনালি জাতের বাচ্চা ১৫ থেকে বেড়ে ৫০-৫২ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তারা আরও জানান, ১৫ টাকার রেডিফিড ৪০-৪২ টাকা, পোলট্রি খাদ্য তৈরির ভুট্টা ১৩ থেকে ২৮, সয়াবিন প্রতি কেজি ২৬ থেকে ৬০ ও মিটবোন মিল ৩২ টাকা থেকে ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা ওষুধের ঊর্ধ্বমুখী দাম।
(Source: Amar Desh)
(Link: http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/01/24/184452#.UQC-qKznGqA)
|