ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়কে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচল করছে। ফলে গাইবান্ধার সীমানায় পড়া ৩২ কি.মি. অংশের বেশিরভাগই হুমকির সম্মুখীন। মহাসড়কের অসংখ্য স্থানে দেবে গিয়ে কোথাও উঁচু কোথাও নীচু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনও চলছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পর্যন্ত মহাসড়কের ৩২ কি.মি. অংশ জেলার সীমানায় পড়েছে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বগচর, চৌরাস্তা মোড়, কালিতলা, বালুয়া বাজার, পলাশবাড়ি উপজেলার অবিরামপুর, জুনদহ, রাইগ্রাম, বৈরি হরিণমারি, সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় মহাসড়কটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্রটি জানায়, মহাসড়কের ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ২০ মেট্রিক টন। কিন্তু যানবাহন চলছে ৩৫-৪৫ মেট্রিক টনের বেশি। পলাশবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদ চৌধুরী জানান, প্রতিদিন এই মহাসড়ক দিয়ে বিশাল আকারের লোহার রড বোঝাই ট্রাক চট্টগ্রাম থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করছে। উত্তরবঙ্গ থেকেও পাথর বোঝাই ট্রাক দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএম সেলিম তদারকি না করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে হাইওয়ে পুলিশকে বার বার তাগাদা দেয়া হচ্ছে। অথচ তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তিনি ৩৫-৪৫ মেট্রিক টন ওজনের ট্রাক চলাচলের কথা স্বীকার করে বলেন, অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচলের কারণে সংস্কার কাজ করেও তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক উেকাচ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে গেলে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা আন্দোলন করে, ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না। (Source: Ittefaq) (Link:http://ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDFfMDdfMTNfMV8yNV8xXzkzNzU)
|