মহেশখালী প্রতিনিধি ॥
মহেশখালীর হোয়ানক কলেজে ২০১৩ সালের এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরনে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরম পুরণের জন্য শেষ দিন আজ ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করলে ও গত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৫ জন পরীক্ষার্থী কলেজ কর্তৃত দাবীকৃত অতিরিক্ত ফি আদায় করে ফরম পুরণ করলেও বাকী ৫০ জন পরীক্ষার্থী টাকার অভাবে ফরম পূরণ করতে পারেনি বলে অভিযোগ করছে পরীক্ষার্থীরা। ফলে আজ শেষ দিনেও তাদের ফরম পুরণ না হলে পরর্বর্তীতে বিলম্ব ফি হিসেবে অতিরীক্ত জরিমানা গুনতে হবে গরীব পিতা মাতার সন্তানদের। নতুবা তাদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
পরীক্ষার্থী ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক সত্রে জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক কলেজে আগামী ২০১৩ সালের এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরনে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি মানবিক বিভাগে ১০০০ টাকা ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১০৫০ টাকার স্থলে বিভিন্ন খাতের অযুহাত দেখিয়ে ৫০০০ টাকা থেকে ৫,৫০০টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। ্ওই কলেজে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়মিত ৪৩ জন ও অনিয়মিত ১৩ জন সহ মোট ৫৬ জন। গত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দাবীকৃত ফি আদায় করে মাত্র ৫ জন পরীক্ষার্থী ফরম পুরণ করেছে বলে জানা গেছে। বাকী পরীক্ষার্থী কলেজে ফরম পুরণ করতে গেলে অধ্যক্ষ সুধীর কুমার দে দাবীকৃত হারে টাকা না দেয়ায় ছাত্রছাত্রীদের সাথে র্দুব্যবহার করে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছে পরীক্ষার্থীরা। গতকাল এ প্রতিনিধিকে ফরম পূরণে ব্যর্থ হয়ে কলেজ থেকে ফিরে আসা পরীক্ষার্থী অনিমেষ দাশ,সাদ্দাম হোসেন,সুজন,রুবেল,দেলোয়ার,জিশু,মোস্তফা,আবু হোরাইরা, ছাত্রীদের মধ্যে হাদিছা,আফরিন সোলতানা জুসি,শারমিন,সুমি,জোসনা, মোবারেকা, হাফেজা ও কোহিনুর সহ প্রায় ৩০/৩৫ জন ছাত্র ছাত্রী জানান, তারা কলেজ থেকে ফরম পুরণে ব্যর্থ হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন। তারা জানান ফি বাবৎ ২০০০ টাকা করে দিতে চাইলে ও ৫০০০ থেকে ৫৫০০ টাকা না দিতে পারার অপরাধে কলেজ অধ্যক্ষ তাদের কে র্দুব্যবহার করে বের করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নির্বাচনী পরীক্ষা পরিচালনা ও এইচ এস সি ফরম পুরণ কমিটির আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক এহসান আলী’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নির্বাচনী পরিক্ষা পরিচালনার জন্য গত ৬ নভেম্বর তাকে আহবায়ক করে কমিটি করে দেয়া হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে যথারীতি ফলাফল প্রকাশিত হয়। ১৩ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ এসে প্রকাশিত রেজাল্ট সিট ছিড়ে ফেলে এবং ছাত্র ছাত্রীদের নিকট থেকে ৫০০০ থেকে ৫৫০০ টাকা পর্যন্ত ফরম পুরণের টাকা আদায়ের চাপ দেয়। অধ্যক্ষ কমিটিকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে নিজেই অতিরীক্ত ফি আদায়ের চেষ্টা করছে।
|