কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল Jan 05, 2012
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের
মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচিত
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক পৌরসভার মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি’র বিদ্রোহী এই প্রার্থীই হলেন কুমিল্লার প্রথম নির্বাচিত নগরপিতা। নবগঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) প্রথম মেয়র নির্বাচনে বৃহস্পতিবার ৩০,৩১১ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। মোট ৬৫টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে ৬৫,৭৪০ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত আফজল খান পেয়েছেন ৩৫,৪২৯ ভোট।
এদিকে, নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজ নিজ কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ভোটগ্রহণ পদ্ধতি সম্পর্কে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আফজল খান নগরীর ৮নং ওয়ার্ডের ১৭নং মডার্ন স্কুল কেন্দ্রে সকাল পৌনে ১০টায় ভোট দিয়েছেন। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তিনি ভোট দিতে কেন্দ্রে আসলেও সাময়িক অসুস্থ্যতার কারণে ওই সময়ে তিনি ভোট দিতে পারেননি। পরে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে উঠে তিনি তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট দিয়ে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছে। তার পক্ষে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত বলে জানান। তিনি বলেন, ‘ইভিএম একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু পদ্ধতি। নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেয়ার মতো মানসিকতা আমার রয়েছে।’ নির্বাচনে অপর মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু নগরীর হোচচামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টায় ভোট দিয়েছেন।
ভোট দেয়ার পর নির্বাচন পরিস্থিতি সন্তোষজনক উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসছেন। আশা করি, তারা সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।’ ভোটাররা যদি এইভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন তাহলে ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেবেন বলে জানান। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা কথা বলবো না, এতে ভোট দিতে আমার কোন সমস্যা হয়নি। এ পদ্ধতি সম্পর্কে আরো আগে থেকে ভোটারদের প্রশিক্ষিত করতে পারলে ভাল হতো।’
জাতীয় পার্টি নেতা মেয়র প্রার্থী এয়ার আহমেদ সেলিম সকাল ১০টায় তার নিজ কেন্দ্র নগরীর ইসলামপুর এলাকার ইসলামিয়া হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। ’
ইভিএম পদ্ধতিকে একটি সুন্দর ও অত্যাধুনিক পদ্ধতি হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে ভোট দেয়া অত্যন্ত সহজ। ব্যালট পেপারের চেয়ে এই পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার ব্যাপারে আমার সমর্থক-ভোটারদের কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেয়র প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম নগরীর ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্রে সকাল সোয়া ৯টায় ভোট দিয়েছেন। ভোট দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের ভোটগ্রহণ পদ্ধতি সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত সন্তোষ জনক।